সিলেটে ভাড়া বাসা অচেতন: বাড়ি ফিরেছেন মা-ছেলে, জ্ঞান ফিরেনি মেয়ের

বাড়ি ফিরেছেন প্রবাসী মা-ছেলে, জ্ঞান ফিরেনি মেয়ের

সিলেটের ওসমানীনগরের প্রবাসী মা ও ছেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও এখনো জ্ঞান ফেরেনি মেয়ে সামিরার। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তার জ্ঞান ফিরবে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ও সামিরার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী হুসনারা বেগম ও তার ছেলে সাদিকুল চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও মেয়ে সামিরা এখনো সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে। তার জ্ঞান ফিরবে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এমন অবস্থায় শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সামিরার পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে ঘটনার পর থেকে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত থাকলেও এখনো অন্ধকারে ঘটনার রহস্য। কিভাবে একত্রে পরিবারের ৫ জন অচেতন হয়েছিলেন সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৬টি আলামত সংগ্রহ, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং অচেতন হওয়া হুসনারা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলামের সাথে কথা বললেও রহস্য উদ্ঘাটনের মতো কোনো তথ্য এখনো জানা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার পর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গত বুধবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য তারা ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন।

সামিরার মামা সেবুল মিয়া বলেন, আমার বোন এবং ভাগিনা সুস্থ হয়ে গত বুধবার বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ভাগিনি সামিরার জ্ঞান ফিরেনি।

সিলেটের পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, সামিরার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। তবে তার মা ও ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনার এখনো কোনো রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে তাজপুরে ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উপজেলা দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ একই পরিবারের ৫ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ও তার ছোট ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।