গোয়ালাবাজারে মা-মেয়েকে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

সিলেটের ওসমানীনগরে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হবার পর এবার মা-মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাদের আটকে রেখে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

রোববার দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিতা কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

নির্যাতিতা মা ও কিশোরী মেয়েকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা মা গত বৃহস্পতিবার ওসমানীনগর থানায় দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার গোয়ালাবাজার ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মতিন মিয়া (৪০) ও একই এলাকার ফিলিং স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বগুড়া হোটেলের মালিক বুলবুল (৪০)।

পুলিশ ও নির্যাতিতাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা নির্যাতিতা নারী সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনের পাশের বুলবুলের বগুড়া রেস্তোরাঁয় প্লেট ধোয়া ও মসলা বাটার কাজ করতেন। এর সুবাদে পার্শ্ববর্তী স্থানে ১৫ বছরের কিশোরী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন এই নারী। সেই সুযোগ নেয় অভিযুক্তরা। তারা ১৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মা-মেয়ে দুজনকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে কিশোরীর মা ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বাদী ও তার ১৫ বছরের মেয়েকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করে দুই আসামিকে গ্রেফতারের মধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই সুবিনয় বৈদ্য বলেন, রোববার দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিতা কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। মা ও মেয়েকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।