বিদেশে ‘পাচার’ করতে হবিগঞ্জে বয়স বাড়িয়ে ভোটার!

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। হালনাগাদ কার্যক্রমে জাল কাগজ তৈরি করে বয়স বাড়িয়ে ১২ কিশোরীকে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। তবে তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এদিকে ভিন্ন ভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নিয়ে আসা এসব কিশোরীর ভোটার হওয়ার চেষ্টায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এমন কাজ করছে। 

পুলিশ জানায়, চুনারুঘাটে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে বুধবার শানখলা ইউনিয়নে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনা ১২ কিশোরীকে ভোটার করানোর সময় তাদের আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা করেন। 

পুলিশ জানায়, বয়স বাড়িয়ে ভোটার আইডি কার্ড তৈরির পর পাসপোর্ট বানানো হয়। পরে কিশোরীদের বিদেশে পাচার করা হয়।

জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অপারেটর, সুপার ভাইজার এবং ট্রাভেল এজেন্সির দালালেরা জড়িত থাকতে পারেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুধীজনরা। 

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি দালাল চক্র জেলাসদরসহ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কিশোরীদের এনে প্রথমে তাদের বয়স বাড়িয়ে জাল কগজপত্র তৈরি করে। তারপর ভোটার তালিকাভুক্তির জন্য ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম চলা এলাকায় নিয়ে তালিকায় নাম উঠায়। 

চুনারুঘাট থানার (ওসি) আলী আশরাফ জানান, মামলা দায়েরের পর ১২ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, আমাদের ধারণা, দালাল চক্রের চেষ্টা সফল হলে এই কিশোরীদের তারা বিদেশে পাচার করে দিত। 

তিনি আরও বলেন, এসব কাজে ট্রাভেল এজেন্সির অসাধু চক্র জড়িত থাকতে পারে। এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দায়িত্বে থাকা সুপার ভাইজার কিংবা অপারেটর এ কাজে জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।