নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে নারীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা রিপন রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের সকাল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার বসাকপাড়া মহল্লার শ্রী বিদু রায়ের ছেলে রিপন রায় (৩০)। তিনি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত চার বছর ধরে ভুক্তভোগী নারী (২০) শহরের উত্তরসাহাপাড়াস্থ তার নানির বাড়িতে থাকতেন। দেড় বছর আগে ছাত্রলীগ নেতা রিপনের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। এরই সূত্রধরে তার মুঠোফোনের নম্বর নেন গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতা। পরবর্তীতে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। এমনকি রাস্তা-ঘাটেও বিভিন্ন উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। সেই সঙ্গে তার প্রস্তাবে রাজি করার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগও করা হয়। একপর্যায়ে ক্ষমতার দাপট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৩০ আগস্ট বিকেলে কৌশলে ভুক্তভোগী নারীকে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক তাকে নেশার ট্যাবলেট খাওয়ানো শেষে নানির বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় রিপন জোরপূর্বক ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ছাত্রলীগের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আইনের আশ্রয় নিতেও বাধার সৃষ্টি করে। এমনকি ঘটনার পর থেকেই প্রায় ১৭ দিন নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। বলা চলে এক রকম গৃহবন্দি অবস্থা। তবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় থানায় এসে মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জানান, ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়ের করেছেন। পরে একই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে রিপন রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।