সম্ভবত এটাই আমার শেষ বাজেট: মেয়র আরিফ

নতুন কোনো করারোপ ছাড়াই সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বাজেট ঘোষণার শুরুতেই মেয়র বলেন, এটি সম্ভবত আমার পরিষদের শেষ বাজেট। তবে কেন এটার ব্যাখ্যা দেননি মেয়র।

সিসিক মেয়র বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে টানা তিনবার সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে সারা দেশে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করে সিসিক। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের সব সিটির মধ্যে প্রথম হওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের ২০টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যেও দ্বিতীয়বারের মতো দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

এবারের বাজেটে কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ৪৬ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

বাজেটের উল্লেখযোগ্য আয় খাতগুলো হচ্ছে- হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৫ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ১৬ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার ওপর কর ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের ওপর কর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৮০ লাখ টাকা, ঠিকাদারি তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফি বাবদ ৩০ লাখ টাকা, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ৪ কোটি ৫০ হাজার টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৩০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, দক্ষিণ সুরমা শেখ হাসিনা শিশু পার্কের টিকিট বিক্রয় থেকে আয় ৮০ লাখ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফি বাবদ ১ কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ২ কোটি টাকা।