সিলেটের গ্যাস আসছে মিটারের আওতায়, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি

সিলেটে গ্যাসের ব্যাপক অপচয় রোধ ও বকেয়া বিলের ঝক্কি-ঝামেলা দূর করতে গ্রাহক সংযোগে শিগগির প্রিপেইড মিটার লাগানো হচ্ছে। শুরুতে নগরীর ৫০ হাজার গ্রাহককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই লক্ষ্যে জালালাবাদ গ্যাস টি এন্ড ডি সিস্টেমস লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল) ও দি কনসোর্টিয়াম অব জেনার মিটারিং টেকনোলজি (সাংহাই) লিমিটেড ও হেক্সিং ইলেকট্রিকেল কোম্পানি লিমিটেড, চায়নার সাথে রোববার চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সিলেটে জালালাবাদ গ্যাস ভবনের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় জেজিটিডিএসএল-এর পক্ষে কোম্পানি সচিব শহিদুল ইসলাম এবং হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল-এর রিজিওনাল সিইও লিও জু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় জালালাবাদ গ্যাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) প্রকৌশলী শোয়েব আহমদ মতিন বলেন, এই চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) ও সিলেট সদর উপজেলার ৫০ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আমরা প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘ ১৯ মাসের প্রচেষ্টার পর আমরা মিটার স্থাপনের চুক্তি করলাম। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মিটারিং স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। এজন্য গ্রাহকদের বাড়তি কোনো খরচও নগদ প্রদান করতে হবে না।

হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল-এর রিজিওনাল সিইও লিও জু বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডসহ এদেশে অনেক প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। তারা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এ কাজে নিয়োজিত। সিলেটে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধারেন প্রকল্প পরিচালক লিটন নন্দী। তিনি জানান, আবাসিকে গ্যাসের অপচয় রোধ এবং গ্রাহকদের বিল সাশ্রয়ে মূলত এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট ও উপশহর এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে। এই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ দুটি স্থানে মিটার স্থাপন করা হবে। এ দুটি স্থানে পাইলটিংয়ের পর নগরীতে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহৎ আকারে মিটার স্থাপনের কাজে হাত দেয়া হবে। তিনি জানান, জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বিনামূল্যে মিটার লাগিয়ে দেয়া হবে। মিটারের মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে সমন্বয় করা হবে। তিনি যুগান্তরকে জানান, এটি কন্টাক্টলেস স্মার্ট কার্ডভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন গ্যাস পরিমাপের মিটার। নিকটস্থ রিচার্জ পয়েন্ট থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট কিনে প্রিপেইট মিটার রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জ শেষ হলেও এতে ইমার্জেন্সী ব্যালেন্সের সুবিধা থাকবে বলে জানান তিনি। প্রয়োজনে এ বিষয়ে ১৬৫১১ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রিপেইড গ্যাস মিটার থাকলেও সিলেটে প্রথমবারের মতো চালু করা হচ্ছে এ পদ্ধতি।