হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটের গণসমাবেশ সফল করার জন্য বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতিসভা চলছিল।

মাগরিবের নামাজের পরপর লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক এবং সাব-ইন্সপেক্টর দেবাশীষ ও রাব্বীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিএনপি কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত ব্যাপক হামলা চালায়।

প্রথমে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে এবং তারপর নির্বিচারে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে এলাকায় এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি হয়।আশপাশের মানুষ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে প্রাণভয়ে পালাতে থাকে মানুষ।

তিনি বলেন, পুলিশি হামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক জি কে গউছ, ছাত্রদল নেতা ফজলে রাব্বী, আহমেদ আজমসহ গুরুতর আহত হয় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী। সভাস্থল থেকে সভার সভাপতি ও লাখাই উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

এছাড়া হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে গণসমাবেশের লিফলেট বিতরণের সময় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাহির হোসেনকে গ্রেফতার করে।

বুধবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিএনপি’র গণসমাবেশগুলোতে বিপুল জনসমাগমের কারণে অবৈধ সরকার নিজেকে বিপন্নবোধ করছে।

তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম, সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান বাপ্পিসহ ১৫ জন নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।  

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কারান্তরীণ নেতাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তির দাবি জানান এ বিএনপি নেতা।