সিলেটে ব্যাজ-কোট পিন বিক্রির হিড়িক

শনিবার সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। আগেভাগেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। এই সমাবেশ ঘিরে নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাজ সাজ রব। এরই মধ্যে সমাবেশ এলাকায় চলছে বিএনপির দলীয় পতাকা, কোট পিন, ব্যাজ ও ফিতা বিক্রির হিড়িক । বিএনপির লোগো, খালেদা জিয়া-তারেক রহমান ও ধানের শীষ প্রতীক সম্বলিত ব্যাজ শোভা পাচ্ছে নেতাকর্মীদের বুকের উপর শার্টে, কোটে। কারো বুকে একটি কেউ বা একাধিক। 

বিক্রেতাদের কেউ কেউ মাঠের প্রবেশ মুখে বসে বিক্রি করেছেন। কেউবা হেঁটে হেঁটে বিক্রি করছেন। আবার অনেকেই সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ব্যাজ পরিয়ে দিয়ে বকশিশ আদায় করছেন। কয়েক শতাধিক ব্যাজ-কোট পিন বিক্রেতা সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে উপস্থিত হযফদিরপুরের কাজল। গত সোমবার নিজ এলাকা থেকে ব্যাজ বিক্রি করতে সিলেটে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার টাকার ব্যাজ ও কোট পিন বিক্রি করেন। তার আশা সমাবেশ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবে তিনি বলেন, ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আশা করি, ৪০/৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। সমাবেশের দিন সকালে বেশি বিক্রি হবে। এর আগের বিএনপির সমাবেশগুলোতে ব্যাজ বিক্রি করে আয় ভালো হয়েছে। আগে এলাকায় চায়ের দোকানে কাজ করতাম। এক বন্ধুর পরামর্শে বিএনপির সমাবেশে ব্যাজ বিক্রি করছি। ভালো সাড়াও পাচ্ছি। ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে।সিলেটে পিন বিক্রি করতে ঢাকার সাভার থেকে আসা আব্দুল হানিফ বলেন, আগে মনোহরীর দোকানে এসব ব্যাজ বিক্রি করতাম। তবে সেখানের চেয়ে সমাবেশে বেশি বিক্রি, বেশি লাভ। একটা সমাবেশে ভালোভাবে বিক্রি করতে পারলে ২০/২২ হাজার টাকার উপরে লাভ হয়। চট্টগ্রামে বিএনপির প্রথম সমাবেশ ব্যাজ বিক্রি করে ১৭ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এরপর থেকে প্রতিটা সমাবেশে গিয়েছি। নেতাকর্মীরা বিএনপি ও তাদের নেতাদেরকে এতো ভালোবাসে যে ব্যাজ বিক্রি করতে না আসলে বুঝতে পারতাম না। শুধু ধানের শীষ প্রতীক ব্যাজ পরার জন্য মানুষ টাকার দিকে চাচ্ছে না। খেতে খামারে কাজ করা শ্রমিকরাও টাকা খরচ করে ব্যাজ নেন। যেন তাদের মধ্যে উৎসব চলছে।

সমাবেশের মাঠে ও সড়কের উপর একদল তরুণ ধানের শীষের কোট পিন ও ব্যাজ নিয়ে নেতাকর্মীদের শার্টে পরিয়ে বকশিশ আদায় করতে দেখা গেছে। ব্যাজ ৫০ টাকা, ১০০ টাকা এমনি কেউ কেউ ৫০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ আদায় করছেন।