ছাত্রদল নেতা অনিক হত্যা, আ.লীগের ১৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের মিছিলে যুবলীগের নেতাকর্মীর হামলা ও ধাওয়ার ঘটনায় যুবলীগ সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন নিহত ছাত্রদল নেতা অনিকের বাবা আমির হোসেন। এ সময় মামলায় আওয়ামী লীগের ১৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহম্মেদ আদালতে আবেদন করেন। এ সময় আদালত আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে তলব করেছেন।

নিহত অনিক রূপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি রূপগঞ্জের একটি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করত। একইসঙ্গে একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাশেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা বাবু রাসেল, মো. শাহীন মিয়া, ওরফে কালাই বাবু, মো. ওবায়দুর, মো. আলাউদ্দিন, মো. মিজান, রাজীব, মো. রানা, রিফাত, ইমরান ও মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা।

জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করেন রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলের শেষ পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিলকারীদের ওপর হামলা করে ও ধাওয়া দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মাইক্রবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন কাঞ্চন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহসভাপতি অমিত হাসান অনিক। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান অনিক।

এ বিষয়ে বাদীর পক্ষে আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, অনিককে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী অনুযায়ী থানায় মামলা আবেদন করলে মামলা না নেওয়ায় আজ আদালতে মামলার জন্য আবেদন করা হয়। আদালত মামলার বাদী এবং আইনজীবীর বক্তব্য শুনে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট ও এই বিষয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি-না আগামী তিন দিনের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।