কারা আসছেন সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে?

বহু নাটকীয়তার পর হচ্ছে সিলেট মহানগর বিএনপির সম্মেলন। সংগঠনের শীর্ষ তিন পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।

শুক্রবার নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়েছে। একটু পরেই কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হবে। 

তিনটি পদেই একাধিক প্রার্থী থাকায় গোপন ভোটে নেতা নির্বাচিত হবেন। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সিটি সম্প্রসারিত হওয়ায় মহানগর বিস্তৃত হয়েছে ৪২টি ওয়ার্ডে। তবে সম্মেলনে কাউন্সিলর থাকছেন পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডের। 

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারিতে। অর্থাৎ দীর্ঘ সাত বছর পর এই ইউনিটের সম্মেলন হতে যাচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শিফতাহ সিদ্দিকী জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৭১ জন কাউন্সিলর থাকবেন। সব মিলিয়ে মিলে ১ হাজার ৯১৭ জন কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির আগামী নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন সম্পন্নের জন্য সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এটিএম ফয়েজ উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ৪ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বুধবার বিকালে কাউন্সিলর তালিকা চূড়ান্ত করেছে।

নগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিমুখী লড়াই হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াইয়ে আছেন দুজন। সব মিলিয়ে নগর বিএনপির আজকের সম্মেলনে শীর্ষ তিনটি পদেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

যদিও সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর এ তিনটি পদে প্রার্থিতা ঘোষণার হিড়িক পড়েছিল। সভাপতি পদে ৪, সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। 

নগর বিএনপির সভাপতি পদ পেতে চান সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আহ্বায়ক কমিটির দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সিটি কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী রেজাউল করিম নাচন, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, আবদুল্লাহ শফি সায়ীদ সাহেদ ও মোস্তফা কামাল ফরহাদ। তবে প্রথম দুজনের মধ্যেই লড়াই হবে বলে জানা গেছে। 

পক্ষকালব্যাপী প্রচারে প্রার্থীরা নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ে ছুটেন কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে। নগরজুড়ে ঝুলছে তাদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। কদর বেড়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের। 

আর কয়েক মাস পরেই সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তারপরও নগর বিএনপির সম্মেলনের প্রচারে বিষয়টি থাকছে আলোচনায়। ফলে কাউন্সিলররা ভেবে-চিন্তেই নির্বাচন করবেন আগামী নেতৃত্ব।