বানিয়াচংয়ে জানাজা শেষে ফেরার পথে সড়কে নিহত দুই সহোদর

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে খালার জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহোদরের মৃত্য হয়। এ ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের আরও ৪ জন গুরুতর আহত হযআজ শনিবার (২৫ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে বানিয়াচং উপজেলার ভাটিপাড়া নামক এলাকায় এক্সভেটর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের গাড়ি দিয়ে হতাহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নিহত দুই ভাই বানিয়াচং উপজেলার চিলাপাঞ্জা গ্রামের বানাই মিয়ার ছেলে মহিন উদ্দিন (৬০) ও তাজউদ্দিন (৪৫)। আহত হন, নিহত তাজউদ্দিনের ছেলে মিশকাত (৭), নিহত মহিন উদ্দিনের স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৫৫), চিলাপাঞ্জা গ্রামের নবীর হোসেনের স্ত্রী খাইরুন্নেছা (৫২) ও একই গ্রামের মিন্নত আলীর ছেলে মো. আলী। 

হতাহতদের স্বজন ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খালার জানাজা পড়ার জন্য নিহত দুই ভাই তাদের পরিবারের লোকজন বানিয়াচংয়ের উজিরপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। ইফতারের পর দুটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা দিয়ে তারা বানিয়াচংয়ে ফিরছিলেন। পথে বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া নামক স্থানে একটি এক্সভেটর সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুটি সিএনজি উল্টে যায়। এতে গুরুতর আহত হন মহিন উদ্দিন ও তার ভাই তাজ উদ্দিন। আহত হন প চারজন। 


এ সময় বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ হবিগঞ্জ শহর থেকে বানিয়াচং যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনা দেখে তিনি তার গাড়ি দিয়ে হতাহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, আমি হবিগঞ্জ শহর থেকে ফেরার পথে দূর্ঘটনাটি দেখতে পাই। তখন অনেকগুলো গাড়ি সেখানে থাকলেও কেউ রোগীদের নিতে রাজি হননি। তাৎক্ষণিক আমি আমার গাড়ি দিয়ে উনাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। পরে আমি অন্য একটি সিএনজি নিয়ে অফিসে চলে আসি। পরে জানতে পেরেছি আহত দু'সহোদর মৃত্যু বরণ করেছেন।