ইফতার পার্টি না করে গরিবদের খাদ্যসামগ্রী দেবে আ.লীগ

এবার রমজান মাসে কোনো ইফতার পার্টি করবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তার পরিবর্তে এই বৈশ্বিক সংকট পরিস্থিতিতে দলের পক্ষ থেকে গরিব মানুষের জন্য ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেবে ক্ষমতাসীনরা। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃচ্ছ্রতা সাধন করবেন। এই বৈশ্বিক সংকটে গরিব মানুষের জন্য ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী দলের পক্ষ থেকে তুলে দেবেন। ইফতার পার্টি করতে নেত্রী বারণ করেছেন। গণভবনেও কোনো ইফতার পার্টি হচ্ছে না।

এ সময় সহযোগী সংগঠনের উদ্দেশে তিনি বলেন, বড় বড় ইফতার পার্টির কোনো প্রয়োজন নেই। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে যারা কষ্টে আছেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। তাদের কাছে ইফতারসামগ্রী পৌঁছাব। দলীয়ভাবে টাকা খরচ করার কোনো প্রয়োজন নেই, এই টাকা গরিবের মাঝে বিতরণ করুন। এটা নেত্রীর নির্দেশ, আমি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, এবারের রমজানে গণভবনে কোনো ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবেও এবার সাদামাটা ইফতার করবেন। সরকারের ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে হাসান জাহিদ তুষার জানান, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী যে সাশ্রয় নীতি অবলম্বন করেছেন, ব্যক্তিগত জীবনে সেটারই অংশ হিসেবে তিনি এবার কোনো ধরনের ইফতার পার্টি করবেন না। ইফতারে সংযম এবং ব্যয় সংকোচন করবেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী রমজান মাসে গণভবনে এতিম, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন। তবে এ বছর তার ব্যত্যয় ঘটছে।