জীবনের কঠিন সময়ের কথা বর্ণনা দিলেন ‘টাইটানিক’ অভিনেত্রী

‘টাইটানিক’ খ্যাত তারকা কেট উইন্সলেট।
কেট উইন্সলেট

তারকাদের মাঝে মাঝেই দেখা যায় নিজের জীবনের কালো অধ্যায়গুলো সামনে আনতে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত তারকা কেট উইন্সলেট। সবার মতো এই অভিনেত্রীর জীবনেও আছে কালো অধ্যসম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, একটা সময় সিনেমা থেকে সরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল তার। যে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য তার এমন খ্যাতি, তা একটা সময় ছেড়ে দেবেন এমন পরিস্থিতি ছিল তার জন্য ভীষণ কষ্টের। 

১৯৯৭ সালে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা টাইটানিক সিনেমা মুক্তির পরই তার জীবন বদলে যেতে শুরু করে। পেয়ে যান তুমুল জনপ্রিয়তা। সেই সূত্র ধরে সে সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় নির্মাতা জিম থ্রিপলেটনের। সে পরিচয় থেকে পরিণয়, তার পর বিয়ে। কিন্তু এর পর অন্ধকার জীবনে পা দেন কেট উইন্সলেট।

সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সেই খারাপ সময় কখনও ভুলতে পারব না। জিম (সাবেক স্বামী) আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে দিয়েছিল সে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমার কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব এলে জিম সেগুলো আমাকে করতে বারণ করত। সে কখনোই চাইতো না আমি বিখ্যাত হই। তার ভয়ঙ্কর ইগো সমস্য ছিল। স্ত্রী তার স্বামীর চাইতে বিখ্যাত হবে, তা কখনও মানতে চাইত না জিম।’ তবে এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশিদিন টেনে নেননি কেট উইন্সলেট। ২০০১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বিচ্ছেদের মতো কঠিন পথে হাঁটতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি উইন্সলেট। এর পর ২০০৩ সালে পরিচালক স্যাম মেন্ডেজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কেট। ২০১০ সালে কেট-মেন্ডেজ সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। তারপর বর্তমান স্বামী নেড রকনরোলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন কেট উইন্সলেট। ২০১২ সালে বিয়ে করা কেটের এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও নেডের দ্বিতীয় বিয়ে।