গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ: স্বামীর বাড়ির সবাই ৩ দিন ধরে পলাতক

ছবি সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামীর বাড়ির কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। এখনও সবাই পলাতক বলে জানা গেছে।

নিহত হাফছা বেগম (১৯) উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কাকুরাইল গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে। সাড়ে তিন মাস আগেপারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী নতুন জীবনপুর গ্রামের আরু মিয়ার ছেলে ইজমান হোসেনের সঙ্গে হাফসার বিয়ে হয়। 

পুলিশ জানায়, প্রতিবেশিদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ হাফসার লাশ তার স্বামীর ঘর থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার (২৫ মার্চ) কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাত ১০টায় হাফসার লাশ দাফন করা হয়। 

এদিকে, হাফসার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ- যৌতুকের জন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন স্বামীসহ তা পরিবারের লোকজন। অভিযোগ রয়েছে- বেশ কিছুদিন থেকে ইজমান তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে এক লক্ষ টাকা আনতে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু হাফছা এতে অসম্মতি জানান। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালেও তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইজমান ক্ষুব্ধ হয়ে হাফছাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাফছার লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে সেটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পায়নি। এছাড়া ঘটনার দিন থেকেই স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে আছেন। লাশটি ঝুলন্ত দেখে প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেন। 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, প্রাথমিক পাওয়া আলমত অনুযায়ী এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে। তিনি বলেন- ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।


তিনি বলেন- ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।