প্রস্তুত হচ্ছে প্রটেকশন গার্ড রেজিমেন্ট

বিদেশি রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক, মন্ত্রী, এমপি এবং ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত হচ্ছে প্রটেকশন গার্ড রেজিমেন্ট। আনসার ব্যাটালিয়নে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল দিয়েই সাজানো হবে এই নিরাপত্তা ব্যাটালিয়ন। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাটালিয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তর এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পায়নি। আজ থেকে এ বিষয়ে তৎপরতা শুরু হতে পারে বলে জআনসার সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাহিনীটিতে বর্তমানে ৪২টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ২টি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ন ও একটি গার্ড ব্যাটালিয়ন রয়েছে। ওই ব্যাটালিয়নটির নাম-এজিবি। এজিবি মূলত, ডিবির সোয়াত টিমের মতো বিশেষায়িতভাবে প্রশিক্ষিত। এজিবি এর আগে দীর্ঘ ৬ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে।

এছাড়া বর্তমানে আইসিডিডিআরবিতে এই ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এজিবি। এই ব্যাটালিয়নে ৪১৬ জন সৈনিক এবং কর্মকর্তাসহ ৪২৫ জনবল রয়েছে। এছাড়া তাদের মতো প্রশিক্ষিত প্রায় ৩ হাজার জনবল রয়েছে। যাদেরকে অন্যান্য ব্যাটালিয়নে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। নতুন কোনো ব্যাটালিয়ন গঠনের উদ্যোগ নিলে তাদের থেকে লোকবল নিয়োজিত করা যাবে।

সোমবার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও জাপানের রাষ্ট্রদূতরা এই সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। কখনো কখনো সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতও পেয়েছেন এই বাড়তি নিরাপত্তা। তবে পুলিশ বলছে, ফোর্স স্বল্পতার কারণেই আপাতত বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহার করে এটা সমন্বয় করা হয়েছে। তবে বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে তারা আনসার থেকে বিশেষায়িত ফোর্স ভাড়া করতে পারবেন।

হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত কিংবা এর পেছনে এই দেশগুলোর সঙ্গে কোনো টানাপড়েন কাজ করছে কিনা এ নিয়ে নানা মহলে যখন আলোচনা চলছিল, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক, মন্ত্রী এমপি এবং ভিভিআইপিদের প্রটোকলে আনসারের একটি বিশেষায়িত ইউনিট কাজ করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার জন্য আনসারের প্রটেকশন গার্ড রেজিমেন্ট গঠন করা হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পেলেই আমরা সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেব। নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের মতো সক্ষমতা আছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর, জানান তিনি।