আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৩ হাজার সদস্য মাঠে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৩ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রিসাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য নির্বাচনি সরঞ্জাম বিতরণ শেষ হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম। সোমবার নগরীর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তারা এ নির্দেশ দেন।

ফরিদুল ইসলাম বলেন, সবাই সম্মিলিতভাবে গাজীপুরে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সবাই।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো নগরী। কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার যেসব কথা প্রচলিত রয়েছে সেসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। যদি এমন কিছু আমাদের নজরে পড়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনের মধ্য থেকে যার যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা সেগুলো আমরা নিশ্চিত করব। গাজীপুরের সব ভোটারদের আহ্বান জানাব, তারা যেন নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন এবং তার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দিয়ে যান।

মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কিছু কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ আছে।

সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দিয়েছি। সব কেন্দ্রই আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখব এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে এবং প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ৪৮০টি; যার মধ্যে ৩৫১টি অতিগুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন।

এছাড়াও র‌্যাবের ৩০টি টিম এবং বিজিবি ২০ প্লাটুনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৩ হাজার সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, জনগণ যাতে কেন্দ্রে এসে সুন্দরভাবে ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, গাজীপুরসহ সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে, আমরা যেন একটি ভালো ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারি।