অপরাজেয় এরদোগান

তুরস্কের ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান। ৯৯.৮৫ শতাংশ ভোট গণনা হয়ে গেছে। এতে এরদোগান পেয়েছেন ৫২.১৬ শতাংশ ভোট। অপরদিকে তার হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৪ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৮৬ ভাগ ভোটার। এ খবর দিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।


১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র হওয়ার মধ্য দিয়ে নিজের জয়ের ইতিহাসের শুরু করেছিলেন এরদোগান। এরপর তিনি একের পর এক নির্বাচন জিতে গেছেন। ২০০২ সালে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৭ ও ২০১১ সালের নির্বাচনেও জয় হয় এরদোগানের। এরপর ২০১৪ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণ করেন এর২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয় পান তিনি। এবার ২০২৩ সালে এসে নিজের সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন এরদোগান। প্রায় তিন দশক ধরে রাজনীতির মাঠে তিনি নিজে অপরাজেয় হিসেবে প্রমাণ করেছেন।জয়ের পর এরদোগান টুইটারে বলেন, আমরা জনগণের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাদের ইচ্ছাকে সুরক্ষা করার সময় এসেছে এখন। ভোটের ফল আসার পর নিজের শহর ইস্তাম্বুলে এক ভাষণে এরদোগান বলেন, আমরা আগামি পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করব। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমরা আপনাদের আস্থার প্রতিদান দেব। বিজয়ের আনন্দে এরদোগানের সমর্থকরা তার ইস্তাম্বুলের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছে। সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ডের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান আহমেত ইয়েনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভোটে কোনো রকম অনিয়ম কিংবা জালিয়াতি হয় নি। নির্বাচন প্রক্রিয়া ছিল পুরোপুররোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে। এর আগে গত ১৪ই মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোগান শতকরা ৪৯.৫ ভাগ ভোট পেয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছিলেন ৪৪.৯% ভোট। নির্বাচনের তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিনান ওগান রান অফ নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে সমর্থন দিয়েছিলেন। প্রথম দফার নির্বাচনে ওগান ৫.২ ভাগ ভোট পান। প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।