১৩৭ রানে আউট ট্র্যাভিস হেড! ব্যাট উঁচিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ডাগআউটে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে তখন পিনপতন নিরবতা। সেঞ্চুরিয়ানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ তবুও নীল দূর্গে উল্লাস নেই। কিভাবে করবে! তখন যে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেমে সিরাজের বলে ব্যাট চালালেন। বাউন্ডারিতে ঠেকিয়ে দিলেও ততক্ষণে জয়ের সোনালি সংখ্যা ২৪১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে অজিরা। সেই সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতীয়র হাসি কেড়ে নিয়ে তাদের চোখের সামনে থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো ওয়ানডে বিশ্বকাপের ‘সোনালি ট্রফি’। তাও বলে কয়ে, রীতিমতো হুমকি দিয়ে নীল দুর্গের উৎসব থামিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হ্যাঁ, অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ম্যাচের আগের দিন এমনই হুমকি দিয়েছিলেন। আর গতকাল মাঠে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে প্রমাণ কবলেছিলেন, ‘দর্শক অবশ্যই একটি দলের জন্য তালি বাজাবে। কিন্তু খেলাধুলায় গ্যালারি ভরা দর্শকের পিনপতন নীরবতা দেখার মতো সুখ আর নেই। আমরা আগামীকাল (ফাইনালের দিন) ওই চেষ্টাই করবো।’ তার রৌদ্র প্রখর নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাট হাতে বাকি কাজটা সেরেছেন ম্যাচ সেরা হেড ও তার সঙ্গী মার্নাস লাবুশেন। তাদের দু’জনের ১৯২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এটি অস্ট্রেলিয়ার ৬ষ্ঠ (হেক্সা) শিরোপা। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে
ফাইনালে ভারতের এটি দ্বিতীয় পরাজয়। বিশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা হেরেছিল ১২৫ রানে। তাদের ছয় শিরোপার দুটি ভারতের মাটিতে জিতলো অস্ট্রেলিয়া। একটি দেশের মাটিতে, বাকি তিনটি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডজে।রলেন- তিনি কথা আর কাজে এক। এক আসর পর আবারও বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুললো অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে ২০১৫ সালে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল তারা। এবার ভারতকে তাদের মাটিতে হারিয়ে জিতলো ছয় নম্বরটি। ১৯৮৭ তে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। পরের শিরোপার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় এক যুগ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০০৩ ও ২০০৭ জিতে শিরোপার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে তারা।
মন্তব্য