দুইদিনে করোনামুক্ত ওসমানীর ১৫ চিকিৎসক

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার দুইদিনের মাথায় দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় ১৫ জনেরই রিপোর্ট এলো নেগেটিভ। অর্থাৎ তাদের শরীরে করোনাভাইরাস নেই। তারা সবাই করোনামুক্ত। এ নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে তোলপাড় চলছে। পরীক্ষায় এমন ভুলের কারণ খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৬ জন ওই মেডিকেল কলেজের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষানবীশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসক। তাদের মধ্যে ১৫ জনই নারী। গত সোমবার (৪ মে) রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। শনাক্ত হওয়াদের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল না। তারা সবাই সুস্থ ছিলেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার আবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় দফার এ পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ১৫ জনের। দ্বিতীয় দফায় করোনা শনাক্ত হওয়া অপর ইন্টার্ন চিকিৎসক শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। ২৩ এপ্রিল গাজীপুরফেরত ওসমানী হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়লে ওই ১৬ চিকিৎসক ওই দিন থেকেই কলেজের ইন্টার্ন হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল গাজীপুর থেকে আসা হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে সিলেট আসা ৭৮ ইন্টার্ন চিকিৎসককে হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জনই নারী। আক্রান্তদের শরীরে কোনো উপসর্গ না থাকায় কলেজ হোস্টেলেই আইসোলেশনে রাখা হয়। মঙ্গলবার ফের তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়। এর মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় হাসপাতালে ভর্তি একজন ছাড়া বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আরেকবার তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। পরপর দুবার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে আমরা একজন রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করি। প্রথমবার পজিটিভ এলেও দুইদিন পর দ্বিতীয় দফায় ১৫ চিকিৎসকের করোনা নেগেটিভ এসেছে।