সিলেটে ভোটে থাকছে বিএনপি

উপজেলা নির্বাচন

গেলো সংসদ নির্বাচনের ন্যায় চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলো বিএনপি। তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন সোমবার (২২ এপ্রিল) সিলেটের তিনটি উপজেলায় বিএনপি নেতারা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন নি। ফলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। যদিও জেলা বিএনপি জানিয়েছে দলের সদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিলো সোমবার (২২ এপ্রিল)

শেষ দিন পর্যন্ত সিলেটের তিনটি উপজেলায় প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতারা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ বিএনপি নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী। এছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন ও জৈন্তাপুর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন নির্বাচন করছেন।

এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির যে চার নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গৌছ খান, তার চাচাতো ভাই যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য-প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. কাওছার খান ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সরকার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাচ্ছে না এটা আগে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।