গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের চেহারা বদলে দিতে চান সরওয়ার

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দৈনিক শুভ প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক সরওয়ার হোসেন বলেছেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১/১১এর সময় কারা নির্যাতিত হয়েছি। রাজনীতির মাধ্যমেই আমি বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আরও ব্যাপকভাবে কাজ করতে চাই। উন্নয়নের মাধ্যমে সারাদেশের মত সিলেট-৬ আসনের চেহারা বদলে দিতে চাই।বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।সরওয়ার হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধি না হয়েও আমি সরকারী বিভিন্ন খাত থেকে ও নিজস্ব অর্থায়নে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রামীণ রাস্তা, খালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসার ছোটখাটো উন্নয়ন করেছি। যা অনেক জনপ্রতিনিধিও করতে পারেননি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি তাদের সুখে-দুখে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষদের এনে দিয়েছি। এটি আরও বেশি করে করতে চাই। তিনি বলেন, বিগত করোনা ও বন্যার সময় আমি এলাকা ছাড়িনি। দুই উপজেলার প্রত্যেকটি ঘরে আমি গিয়েছি। যার যা প্রয়োজন তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি উপজেলায় যখন উন্নয়নের জয়যাত্রা চলছে। এমন সময়ে সিলেট-৬ আসনের দুই উপজেলা উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছে। দুই উপজেলায় কাজ করতে গিয়ে যা আমার মনে হয়েছে এবং নানা মাধ্যম থেকেও আলোচনায় এসেছে। উন্নয়ন বঞ্চিত এসব এলাকায় বৃহৎ পরিসরে কিছু করা দরকার।দুই উপজেলার প্রবাসীরা বারবার তাগিদ দেয়ায় তিনি সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম, পেলাম না। পরে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এলাকায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। তাছাড়া নেতাকর্মিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাদের পক্ষে কাজ করতে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরওয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচন সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হবে। আমিও তা বিশ্বাস করি। সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ আছে। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে। ভোটাররা ভোট দিবে, তাই নির্বাচিত হলে জনগনের ভোটের মাধ্যামেই হতে হবে। অন্য কোন পথ নেই। আমি মনে করি, গত ১০-১২ বছর মানুষ আমাকে তাদের সুখে, দুখে কাছে পেয়েছে। তাই আগামী ৭ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষ দলমত নিবর্েিশষে আমাকেই তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।মতবিনিময় সভায় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আব্দুল বারী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাহেদ হোসেন। এসময় সিলেটের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।