হরতালের আগের দিন সিলেটে মশাল মিছিল

বিএনপির ডাকা মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিল এবং সমাবেশ করেছে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল।সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) পৃথক ভাবে সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।সোমবার বিকেলে বিএনপি কেন্দ্র আহুত মঙ্গলবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত মিছিলটি নগরীর জিন্দাবাজার থেকে শুরু হয়ে জেলরোড পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়।মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‌‌‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশের টাকা নষ্ট করে নির্বাচনের নামে জাতির সাথে তামাশা করছে। নিজ দলের প্রার্থী ও কতিপয় দালাল চাটুকারদের ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। এরমাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সরকারী দল ও দালাল-চাটুকর ছাড়া প্রকৃত দেশপ্রেমিক কোন প্রার্থী ও দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এভাবে দেশের গণতন্ত্রকামী জনতাও ভোট কেন্দ্রে যাবেনা। প্রহসনের একতরফা নির্বাচন জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে। সময় থাকতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে চড়া মূল্য দিতে হবে।’মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু, তারেক আহমদ খান, সবুর আহমদ, মিজানুর রহমান মিজান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, আলমগীর হোসেন, লোকমান আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলাম, শ্রমিক দল নেতা সামছুল ইসলাম ফয়সল, জিলানী আহমদ ও বাবুল হোসেন প্রমূখ।একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপির ডাকা মঙ্গলবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে ও সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদে মশালমিছিল জেল স্বেচ্ছাসেবক দল।নগরীর জিন্দাবাজারে অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও সদস্যসচিব শাকিল মুর্শেদ।মিছিল শেষে জিন্দাবাজারেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।