কিনব্রিজ দিয়ে চলবে না গাড়ি, উন্মুক্ত থাকবে পায়ে হাঁটার জন্য

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ দিয়ে আর যানবাহন চলাচল করবে না। জননিরাপত্তার স্বার্থে ও ঐতিহ্যবাহী এই কিনব্রিজকে টিকিয়ে রাখতে যান চলাচল বন্ধ রেখে শুধুমাত্র পায়ে হাঁটার জন্য উন্মুক্ত থাকবে গুরুত্বপুর্ণ এই ব্রিজটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলহোসেন।তিনি বলেন, কিনব্রিজের সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সিলেটের জনসভার পরে একটি তারিখ নির্ধারণ করে আমরা ব্রিজটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। তবে এই ব্রিজটি শুধু পায়ে হেঁটে চলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কারণ এই ব্রিজটির সংস্কার করতে গিয়ে দেখা গেছে এটি আর যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না। এই ব্রিজ দিয়ে এখন যান চলাচল করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজকে টিকিয়ে রাখতে এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।তিনি বলেন, এর আগেও ব্রিজকে টিকিয়ে রাখেতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে যান চলাচল বন্ধ রাখা হলেও নানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে এখন সবাইকে বুঝতে হবে। ব্রিজটি যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন যদি এই ব্রিজে কোনো দুর্ঘটনা হয় তখন এর দায়ভার আমাদেরকে নিতে হবে। তাই ব্রিজটি শুধুমাত্র পায়ে হাঁটার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এখন যদি জনগণের প্রয়োজন বেশি হয় তাহলে এই ব্রিজের পাশে আরেকটি ব্রিজের তৈরির প্রস্তাব করা যেতে পারে। কিন্তু কোনো ভাবেই জনসাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না।সওজ সূত্রে জানা যায়, কিনব্রিজ সংস্কারের বিষয়ে ২০২০ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সেতু সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পরে সওজের পক্ষ থেকে সেতুটি সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সিলেটের সওজ। একই বছরের জুন মাসে বরাদ্দের টাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় সংস্কার কাজ হচ্ছিল না।পরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল প্রকৌশল বিভাগ ১৬ আগস্ট কিনব্রিজে মেরামত, নবায়নসহ নির্মাণকাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস যানবাহন ও মানুষজন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পথচারীদের চলাচল বন্ধ করতে সেতুটির দুই পাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়। কিন্তু ১৫ অক্টোবর পেরিয়ে গেলে মেরামতকাজ শেষ না হওয়ায় আবার ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেরামত কাজের সময় বর্ধিত করা হয়। সেটি পেরিয়ে গেলে আবার ১ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় কিনব্রিজ মেরামত কাজের সময় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এরপরও কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি।