ভারতে ‘কোনো মুসলমান বিপদে পড়লে আমি পাশে আছি’

ভারতীয় মুসলমানদের বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের তমলুকে এমনই আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে নশুভেন্দু বলেন, ‘সিএএ কার্যকর হওয়ায় কোনো অশান্তি হবে না। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বুঝেছেন এটা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। মুসলিমরা যদি কোনো সমস্যায় পড়েন আপনার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আছে। এ আইন সম্পূর্ণভাবে উদ্বাস্তু হিন্দুদের সমনাগরিকত্বের আইন। কারও কাছ থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না। গতকাল রাতে আইন পাশ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পার হয়েছে। কারো নাগরিকত্ব গেছে? এমন এক জনকে দেখাতে পারলে আমি নাকে খত দেব।’

ভারতে কার্যকর করা হলো বিতর্কিত সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। সোমবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারত সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর করল। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৯ সালে আইনটি পাশ করে। বিতর্কিত আইনটি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের অনুমতি দেয়।

এ আইন অনুযায়ী, মুসলমান ছাড়া সব ধর্মের লোকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ভারতের প্রতিবেশী আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে বসবাসকারী অ-মুসলিমদের (হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এমনটাই জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

একই সঙ্গে মুসলমান ছাড়া অন্য সবাই যাতে অবিলম্বে আবেদন করেন, সেই আমন্ত্রণ বার্তাও দেওয়া হয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। 

জি নিউজের খবরে আরও বলা হয়, নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ এবং ২০০৯ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) অধীনে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী নয়। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাশের পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। এমনকি দাঙ্গাও বাধে দিল্লিতে৷ ২০২০ সালেও সেই সিএএ বিরোধী ঝড় অব্যাহত থাকে।