বসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি

লাইফস্টাইল ডেস্ক:ধূমপান, স্থূলতা বা ব্যায়ামের অভাবের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়- এটা অনেকেরই জানা। তবে এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে এমন আরো কয়েকটি বিষয় রয়েছে, যা হয়তো অনেকেই গুরুত্ব দেন না। যেমন- ১. হৃদরোগের সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্য জড়িত। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের স্বাস্থ্যের প্রতি কম যত্নবান লোকজনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি রয়েছে।রক্তপাত বা ক্ষত রয়েছে এমন মাড়ি থেকে মুখের ব্যাকটেরিয়া রক্তে প্রবেশ করতে পারে। সেগুলো রক্তনালী বা ধমনীতে চর্বির স্তর তৈরিতে সাহায্য করে।এগুলো লিভারে গিয়ে উচ্চ মানের প্রোটিণ তৈরিতে সহায়তা করতে পারে, যা রক্তের নালীতে স্তর বা বাঁধা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।এরকম বাঁধা তৈরি হলে তা হৃদরোগে আক্রান্ত বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে নিয়মিত ভাবে দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। ২. ১০ বছর ধরে চালানো সুইডিশ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক কর্মীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।অর্থাৎ বসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। ৩. হৃদরোগের অন্যতম কারণ একাকীত্ব।ব্রিটিশ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, সামাজিকভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের যেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৩২ শতাংশ, সেখানে যারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন, তাদের সম্ভাবনা রয়েছে ২৯ শতাংশ। ৪. বিষন্নতার কারণেও অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ৩৩ শতাংশই বিষণ্ণতায় ভুগেছেন। ৫. যখন বয়সের কারণে নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তখন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।এ সময় তাদের শরীরে প্রাকৃতিক ইস্ট্রজেন হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত শরীর চর্চা হৃদরোগের এসব ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিরোধ করে। সূত্র : বিবিসি বাংলা