তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা বঞ্চিত রোগীরা

তাহিরপুর সংবাদদাতা : তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার নতুন ভবন উদ্বোধন হলেও জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম শুরু হয় নি। উদ্বোধনের পর ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে ৩ মাসেরও বেশী সময় অতিক্রম করলেও পুরনো ভবনেই হিমশিম নিয়ে সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান ও সুনামগঞ্জ ১ এর সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে চিকিৎসক, সেবিকাসহ স্বাস্থ্য সেবার মান কিছুটা বাড়বে এমন আশা জনমনে সঞ্চার হলেও বাস্তবতা এখন ভিন্ন কথা বলছে। এখনো ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য নতুন কোন কিছু চোখে পড়েনি স্থানীয়দের। ভবন উদ্বোধনের পর ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পুরনো ভবনেই স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ফলে ৫০ শয্যা হাসপাতালে যে ধরণের চিকিৎসা সেবা পাওয়া কথা উপজেলা বাসীর তা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা যায় স্বাধীনতাত্তোর তাহিরপুর উপজেলায় ৩০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাহিরপুরবাসীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে । আড়াই লাখ জনগোষ্টির উপজেলায় চিকিৎসাসেবা আর একধাপ এগিয়ে নিতে সরকারীভাবেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় আসবাস পত্র ও লোকবল সংকটের কারণে প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিখখিলা গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, নতুন ভবনে সেবা কার্যক্রম শুরু করলে ভর্তিকৃত রোগীরা একটু আরামে থাকতে পারবেন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, অনেকদিন হল নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে কিন্তু নতুন ভবনে কোন কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল কর্মকর্তা সুমন বর্মন বলেন, পুরনো ভবনে বসার স্থান সংকট বর্তমানে ডাক্তার ও স্টাফসহ যারা রয়েছেন তাদের বসতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, লোকবল ও প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র সংকটরে কারনে নতুন ভবনে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছেনা। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি।