সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দুই বন্ধু মিলে অপর বন্ধু ওমর ফারুককে (২৭) ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ওমর ফারুক জেলার মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের আব্দুছ ছালামের ছেলে। এ ঘটনার পর ওই বন্ধুরা পালিয়ে যান। আর তাদের বাড়ি জেলার ছাতক উপজেলায়।বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পর্যটন স্পট টাংগুয়ার হাওড়, বারেকটিলা, শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়ানোর জন্য সকালে জেলার ছাতক উপজেলা থেকে মোটর সাইকেলে বেড়াতে আসেন তিন বন্ধু।বুধবার দুপুরে তাহিরপুর বাজার থেকে বাদাঘাট বাজারে যাবার জন্য তিন বন্ধু মোটর সাইকেলে রওনা হন। পথে জামালগড় সড়কে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ওমর ফারুকের দুই বন্ধু মিলে তাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে (২৭) স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, অবস্থা খুবই খারাপ থাকায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সিলেটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে যুবকের মা-বাবাও এসেছেন। ঘটনাটি কীভাবে আর কেন ঘটেছে খোঁজ নিচ্ছি। ওই অজ্ঞাত বন্ধুদের খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি।’
মন্তব্য