ধর্মপাশায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা

মো.ইসহাক মিয়া ধর্মপাশা প্রতিনিধি :সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রকাশ্যে বেচাকেনা হচ্ছে সর্বনাশা মাদকদ্রব্য মদ গাঁজা । আর এসব মাদকদ্রব্য সীমান্ত এলাকা দিয়ে নিয়ে আসেছে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের শহীদ। জানা গেছে, দীর্ঘ দিনের পুরাতন গাঁজা ব্যাবসায়ী এলাকায় মাদকসম্রাট হিসেবে পরিচিত শহীদ মিয়া বর্তমানে এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এলাকায় নিয়ে আসে ওই শহীদ মিয়া।আর এসব মাদকদ্রব্য এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছে চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী কামাল মিয়া ও বাবলু মিয়াসহ আরো কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ী। এলাকার বাহিরে মাদক সর্বরাহ করে আসছে কামাল মিয়ার ডান হাত আনু মিয়া। মাঝে মধ্যে সীমান্ত এলাকা থেকে কামাল মিয়া ও বাবুল মিয়া এদুজন মাদকের চালান নিয়ে আসে বলেও জানা যায়। ধর্মপাশা থানার নিকটে ধর্মপাশা গ্রামে কামাল মিয়ার বাড়ি।বাবুল মিয়ার বাড়ি সদর ইউনিয়নের বাহুটিয়াকান্দা গ্রামে ও আনু মিয়ার বাড়ি একই ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামে। শহীদ মিয়াসহ মাদকসহ হাতে নাতে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ওই তিন মাদক ব্যাবসায়ী। জেল থেকে জামিনে এসে আবার তারা শুরু করে তাদের পুরনো মাদক ব্যাবসা। রবিবার দুপুরে এক কেজি গাঁজাসহ তার নিজ বাড়িতে সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় বাবুল মিয়া। সম্প্রতি সারে নয় কেজি গাঁজাসহ আনুমিয়াসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেন থানা পুলিশ।মদ গাজার পাশাপাশি রয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেটের ছড়াছড়ি পুলিশি অভিযানে মাঝে মধ্যেইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হচ্ছে ইয়াবা ব্যাবসায়ী। মাদক সম্রাট শহীদ মিয়া সে দীর্ঘদিনের মাদক ব্যবসায়ী বলে সত্যতা স্বীকার করেন। বর্তমানে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায়। একই কথা জানায় কামাল মিয়া।শহীদ মিয়ার নিকট থেকে পাইকারী হিসেবে মাদক ক্রয় করত বলে জানায়।এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে বলে জানায় কামাল মিয়া। পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন,শহীদ মিয়া একজন পুরাতন মাদক ব্যবসায়ী। বহুবার পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে তাকে।বার বার জেল থেকে জামিনে এসে তার পুরাতন মাদক ব্যাবসা শুরু করে।প্রকাশ্যে মাদক বিক্রয় করে আসছে সে।কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা তাকে। এলাকার প্রতিটি গ্রামে আসক্তদের কাছে মাদকদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে সে।প্রতিটি গ্রামে মাদক বিক্রয়ের দায়িত্ব রয়েছে তার নিজস্ব লোকজন।মাদক ব্যাবসা করে দিনমজুর থেকে বর্তমানে কোটিপতির তালিকায় রয়েছে শহীদ। ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন,অভিযান চালিয়ে যার কাছে মাদক পাওয়া যাচ্ছে তাকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মাদক ব্যাবসায়ী কামালকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে । মাদক নিয়ন্ত্রনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত থাকবে।মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।