সুনামগঞ্জে চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুরে চকলেটের লোভ দেখিয়ে এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। শনিবার (৮ জুন) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধষর্ণের শিকার শিশুটি প্রথম শ্রেণির ছাত্রী এবং এক দিনমজুর বিধবা নারীর কন্যা। রবিবার (৯ জুন) রাত ৮টায় মেয়েকে ধর্ষকের পরিবার ও মোড়লদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বিধবা দিনমজুর নারী সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষকের পরিবার মামলা না করার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে নিজ ঘরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল বিধবা দিনমজুর নারীর পিতৃহীন কন্যা। এসময় প্রতিবেশি তেরাব আলীর বখাটে ছেলে রুহুল আমিন (১৮) ওই শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে তার বসতঘরে ডেকে নেয়। ওইসময় ওই বসতঘরে কেউ ছিলনা। এই সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে রুহুল। আসার সময় এ ঘটনা কাউকে খুলে না বলার জন্য বলে। ওই শিশুকন্যা বসতঘরে এসে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে তার প্রচন্ড জ্বর ও ব্যথা শুরু হলেও সে মুখ খোলেনি। রবিবার বিকেলে প্রতিবেশি চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের কাছে এ ঘটনা খুলে বললে ওই নারী তাৎক্ষণিকভাবে শিশুর মাকে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি মেয়েকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে রুহুল আমিনের বাবা, মা, বোন ও বোন জামাই তাদেরকে হাসপাতালে আসতে বারণ করে। এক পর্যায়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় আশপাশের মানুষ জড়ো হলে তারা অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেন। এই খবর মহিলা পরিষদ ও স্থানীয় কাউন্সিলর জানতে পারায় ভিকটিমের মাকে হাসপাতলে চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানান। অবশেষে রবিবার রাত ৮টার দিকে শিশু কন্যাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন মা। এদিকে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর ধর্ষকের পরিবার হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই শিশুকন্যার মা বলেন, আমার মেয়েকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে বখাটে রুহুল আমিন ধর্ষন করেছে। রাতে মেয়ের প্রচন্ড জ্বর ও ব্যাথায় কাতরাতে থাকে। আজ বিকেলে আমার এক বউয়ের কাছে ঘটনা বলার পর আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তবে হাসপাতালে আসতে আমাকে বারণ করা হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর আহমেদ নূর বলেন, আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। ওই অসহায় মহিলা আমাকে ফোনে বলার পর আমি তাকে হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য বলেছি। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি। সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, একটু আগে খবর পেয়েছি। আমি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।