কালভার্ট বন্ধ তাই পানিবন্দী বাঘাহানা গ্রামবাসী

দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা : দোয়ারাবাজারে বন্যা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট বন্ধ করায় বাঘাহানা গ্রামবাসী এখন পানি বন্দী রয়েছে। উপজেলার বোগলবাজার ইউনিয়নের বাঘাহানা গ্রামের সমস্ত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন বিপাকে। অল্প বৃষ্টি হলেই সারা গ্রামবাসী পানি বন্দী হয়ে পরেন। বাড়ির রান্নার করার চুলা পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।এলাকাবাসী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আগের বার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বোগলাবাজার হয়ে দোয়ারাবাজার,এবং বোগলাবাজার থেকে লক্ষিপুর সড়কে দুইটা কালভার্ট দেন তিনি। সেই কালভার্টে এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল প্রায় ৩৫ বছর যাবত। এখন কালভার্টের দুই পাশের রেকর্ডিয় মালিকানা জমির মালিকগণ বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে তাদের ভবন নির্মান করায় এলাকার লোকজন চড়ম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। কালভার্টের পশ্চিম দিকে পাকাঘর তৈরী করেছেন বাগান বাড়ি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম এবং পুর্বদিকে পাকাঘর নির্মান করেছেন বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম। এর ফলে গত কয়েক মাস ধরে বাঘাহানা গ্রাম এলাকার প্রায় শতাদিক পরিবার রয়েছেন পানিবন্দী। পাশাপাশি অগ্রাহায়নের বীজতলাও রয়েছে পানির নিচে। বাঘাহানা গ্রামের হুমায়ুন খান জানান, গত তিন বছর পুর্বে মেম্বার সাবের ঘর বানানোর সময় আমরা এলাকাবাসি আপত্তি করেছিলাম যাতে করে পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট বন্ধ না করেন। আমাদের বাধাঁঁ নিষেধ না শোনেই তিনি কালভার্টের পানি যাবার পথ বন্দ করেদেন। পরে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি সার্ভেয়ার পাটিয়ে পার্শবর্তী স্তানে রাস্তা কেটে দুইটি পাইপ বসিয়েদেন। বর্তমানে সেই পাইপের মুখ বন্দ করে দিয়েছেন কুয়েত প্রবাসী সবুজ মিয়া। আমরা এখন নিরুপায় পানি বন্দি হয়ে আছি কয়েক মাস ধরে। বাঘাহানা গ্রামের হাফেজ সুজন মিয়া বলেন, বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে আমদের সারা গ্রাম পানি বন্দি হয়ে পরি। বর্তমানে প্রায় দুইতিন মাস ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এর পর থেকে আমরা পানি বন্দী হয়ে আছি। আমার রান্নাকরার চোলাটাও পানির নিচে রয়েছে। এব্যাপারে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও করেছি কিন্তু কোন প্রকার সুরাহা হচ্ছেনা আমাদের বাচ্চা ছেলে মেয়েদের নিয়া বড় বিপদে আছি ঘর থেকে বের হওয়া যায়না। সব সময় বাচ্চাদের ডিউটি করতে হচ্ছে। এব্যপারে সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, আমার ঘর করার আগে আমি ঘরের নিচ দিয়া কালভার্টের সংযোগ একটি ড্রেইন করেছিলাম সেই ড্রেইনটি মনেহয় মাটির চাপায় বন্ধ হয়েগেছে। তবে পাশের ভিটেটাও আমার যেখানে পাইপ বসানো হয়েছে সেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্তা করা হলে আমার কোন আপত্তি নাই। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, কালভার্টের মুখ কোন ভাবেই বন্ধ করা টিক হয়নি। খুব দ্রুত বিষটি তদন্তকরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করাহবে।