উপশহরে ছাত্রলীগ কর্মী খুন: ৫ আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জশিট!

নন্দিত সিলেট :: ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর আসামীকে বাদ দিয়ে উপশহরের ছাত্রলীগ কর্মী হুসাইন আল জাহিদ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। কিন্তু আদালত এ চার্জশিট আমলে না নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার রাজীব কুমার রায় এজহারভুক্ত ৯ আসামীর মধ্যে ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। মামলার ১নং আসামী ফজর আলী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ছোট জাহিদ ও নয়ন নামের ২ জনের নাম ঘটনার সাথে জড়িত উল্লেখ করলেও পুলিশ চার্জশিট থেকে তাদের নামও বাদ দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামলার আসামী রাহাত, উবায়দুল, নয়ন ও ছোট জাহিদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি দেখিয়ে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি এমন অজুহাতে মামলা থেকে আসামীকে বাদ দেওয়াকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন আদালত। আদালত বলেন, যেহেতু এটি একটি হত্যাকাণ্ড বিধায় নাম ঠিকানা নিরূপণ করার চেষ্টা দরকার। মামলার বাদী উপশহরের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাদেরকে কোন কিছু না জানিয়েই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনার মূল হোতাদের অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নগরীর উপশহরে মারা যান ছাত্রলীগ কর্মী হুসাইন আল জাহিদ। ২৭ অক্টোবর নিহতের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শাহপরান (রহ.) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২/১৮৭ । মামলার কিছু দিন পর ১নং আসামী ফজর আলী (১৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত ১৬৪ ধারায় তার জবান বন্দী রেকর্ড করে। আসামী তার জবানবন্দীতে মামলার এজহারভুক্ত আসামী সালমান, আরমান, শাহেদ ও রাহাত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে। এছাড়া নয়ন, ছোট জাহিদ ও ইয়াছিন আহমদ তায়েফ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলে আদালতের কাছে স্বীকার করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন তার মনে নেই। বিস্তারিত জানতে হলে প্রতিবেদককে থানায় গিয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য বলেন। এদিকে মামলার বাদী আবুল কালাম জানান, এজহারভুক্ত আসামী উবায়দুল আরব আমিরাতে ও এনায়েত সৌদি আরবে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে দেশে এনে ও এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করার দাবী জানিয়েছেন মামলার বাদী ও নিহতের পিতা আবুল কালাম।