লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ পেটের অতিরিক্ত চর্বি: গবেষণা

এক-চতুর্থাংশ ব্যক্তির লিভার ক্যান্সার হওয়ার কারণ অবেসিটি বা অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া। অথ্যাৎ অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া। আর এক-পঞ্চমাংশের টিউমার হওয়ার কারণ ধূমপান। আর দেরিতে ডায়াগনসিসের কারণে লিভার ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৮০ শতাংশ। মাত্র দুই যুগেই এ হার দ্বিগুণ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের একটি ক্যান্সার গবেষণা চ্যারিটি সংস্থা ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’ (সিআরইউকে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেয়া হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৭ সালে ব্রিটেনের পাঁচ হাজার ৭০০ মানুষ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এক যুগ আগেও সংখ্যাটি ছিল তিন হাজার ২০০। অর্থাৎ ২০১৭ সালের লিভার ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, যদি এসব রোগী দ্রুত ডায়াগনসিস করাতেন তাতে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতেন। সিআরইউকের লিভার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও নিউ ক্যাসল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হেলেন রিভস বলেন, লিভার ক্যান্সার চিকিৎসার অগ্রগতি হচ্ছে খুব ধীরে। রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য আমাদের আরও অনেক সুযোগ তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া অবেসেটি এবং ডায়াবেটিস ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ায় লিভার ক্যান্সারও বাড়ছে বলে জানান তিনি। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১৯ বছরে এসব সমস্যায় মৃত্যুর হার তিনগুণ বেড়েছে। ইংল্যান্ডে ১৯৯৭ সালে পুরুষদের মধ্যে হেপাটোসেলুলার সারসিনোমায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ছিল প্রতি এক লাখে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এটা ২০১৬ সালে হয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রে দুই যুগে এ রোগে মৃত্যুর হার প্রতি লাখে শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।