বান্দার দোয়ায় যেভাবে সাড়া দেন আল্লাহ

আল্লাহতায়ালার রহমতে সিক্ত হওয়ার মূল্যবান হাতিয়ার দোয়া। যে কাজগুলো আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের থেকে বেশি বেশি কামনা করেন, সেসবের অন্যতম প্রধান আমল এই দোয়া। আষাঢ়ের প্রবল বর্ষণের মতো রহমত আসতে থাকে ওই ব্যক্তির উপর যে নীরবে-নির্জনে তার মনিবকে ডাকে ব্যাকুল হয়ে। তাই রহমতের এই তৃতীয় দিনে আসুন আমরা দোয়া বিষয়ে কিছু কথা জেনে নিই। কষ্ট থেকে পরিত্রাণ, দুঃখের অবসান এবং যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের জন্য আমরা কী করতে পারি, তার চমৎকার সমাধান দিচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। ১. মহান আল্লাহপাক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন, আয়াত নং ৬০) ২. তোমরা বিনীতভাবে ও সংগোপনে তোমাদের রবকে ডাক। (সুরা আ'রাফ, আয়াত নং ৫৫) ৩. কে আর্তের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূর করেন এবং তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেন? আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো মাবুদ আছে কি? তোমরা উপদেশ অতিসামান্যই গ্রহণ করে থাকো। (সুরা নামল, আয়াত নং ৬২) ৪. আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, তখন তাদের বলে দাও– নিশ্চয়ই আমি তাদের অতিনিকটবর্তী। কোনো আহ্বানকারী যখনই আমাকে আহ্বান করে, তখনই আমি তার আহ্বানে সাড়া দিই। (সুরা বাকারা, আয়াত নং ১৮৬) রাসুলের (সা.) ভাষায় দোয়ার গুরুত্ব ১. রাসুলে পাক (সা.) বলেন, দোয়াই হলো ইবাদতের মগজ। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং ৮৭৪৬) ২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর কিছু নেই। (মেশকাত শরিফ, হাদিস নং ২২৩৬) ৩. রাসুলে আরাবি (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে ডাকে না তার ওপর তিনি ক্রুদ্ধ হন। (ইবনে মাজাহ শরিফ, হাদিস নং ৩৮২৭] সুতরাং প্রিয় পাঠক! আল্লাহর ক্রোধের শিকার হওয়া তো দূরের কথা তা কল্পনা করাও আমাদের পক্ষে অসম্ভব। তিনি যেহেতু বলেছেন– ‘ডাকো আমায়, নিশ্চয়ই আমি সাড়া দেব’। তা হলে আর দেরি কেন, চলুন রহমতের দিনগুলো কাজে লাগাই দোয়া, ইস্তেগফার ও নীরবে-নির্জনে আঁধারে, কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিই।