রোজায় মুখের যত্নে করণীয়

এক মাস রোজা পালনের জন্য সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। কারণ যে কোনো ধরনের অসুস্থতা দেখা দিলে তা রোজা পালনে অসুবিধা সৃষ্টি করবে। রোজায় শরীরের অন্য অঙ্গের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি নিতে হবে মুখের যত্নও। মুখের যত্ন সঠিকভাবে না নিলে দাঁতব্যথা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার বা ঘা দেখা দিতে পারে। রোজায় দিনের বেশিরভাগ সময় পানি পান থেকে বিরত থাকার কারণে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যায়। লালা বিশেষ এক উপাদান, যেটি আমাদের মুখকে পরিষ্কার রাখে, জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে, মুখকে পিচ্ছিল রাখে; যাতে কথা বলতে, খাদ্যগ্রহণ ও মুখ নাড়াতে মুখের মধ্যকার নরম অংশে কোনো ঘর্ষণ না লাগে। মুখের লালা কমে গেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, দাঁতে গর্ত, মাড়ির রোগ এবং বিভিন্ন মাইক্রোআলসার থেকে মুখে জ্বালাপোড়া হতে পারে। কী করবেন? ১. ইফতার থেকে সেহরি– পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তরল খাবার বেশি খেতে হবে। মৌসুমি ফল, ফলের জুস ও ইসবগুলের ভুসি খেতে হবে। ২. সারাদিন মুখ অলস থাকে বলে জীবাণুরা সক্রিয় হয়। ইফতারে আমরা চিনির শরবত, জিলাপি ও বিভিন্ন চিনির তৈরি খাবার বেশি খাই, যা দাঁতের গর্ত তৈরিতে কাজ করে। তাই এ সময় চিনিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। ৩. অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। ফলে পেটের অ্যাসিড ঢেকুরের সঙ্গে মুখে এসে দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই এসব খাবার বেশি না খেয়ে ফলমূল, শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার তালিকায় রাখতে হবে। ৪. মুখ পরিষ্কারে অনীহা করবেন না। সেহরি খাওয়ার পর সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার করুন। যাদের মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক থাকে কিংবা ডায়াবেটিস রোগীর জীবাণুনাশক মাউথওয়াশ ব্যবহার অতিজরুরি। ৫. রোজার সময় যে বিব্রতকর মুখের গন্ধ হয়, সেটি রোধ করতে নিয়ম মেনে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। ৬. কেউ ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, লিভারের রোগ, এসিডিটিসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের নতুন সময় বুঝে নিতে হবে। ৭. রোজার সময় মুখে কোনো ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।