বিয়ানীবাজারে কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার

বিয়ানীবাজারের মোল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নিদনপুরে জমিজমা ক্রয়-বিক্রয়ের টাকা লেনদেনের জেরে নিহত আব্দুল কাইয়ুম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মফুর আলী। সে বিয়ানীবাজার থানায় কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত তৃতীয় আসামী।

রবিবার (৩ মে) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্তে অভিযান চালিয়ে বড়লেখার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের একটি টিম।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদুল হক বলেন, নিহতের ভাই বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামীদের মধ্যে মফুর আলীকে রবিবার বড়লেখা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া প্রধান আসামীসহ অন্য অভিযুক্তদেরকেও গ্রেফতার করতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। 

জানা গেছে, বিয়ানীবাজার মোল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নিদনপুরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের টাকা লেনদেনের জের ধরে আব্দুল কাইয়ুমের পরিবারের সঙ্গে তার আপন চাচা ফরমান আলীর পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই স্বপন আহমদের হাতে থাকা জিআই পাইপের আঘাতে আব্দুল কাইয়ুম আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কাইয়ুমের আপন ভাই তাজ উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। তবে আহত আব্দুল কাইয়ুমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং পরদিন শুক্রবার (১ মে) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এদিন বাদ আসর পশ্চিম নিদনপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত আন্দুল কাইয়ুমের ভাই আলমাস উদ্দিন বাদী হয়ে চাচাতো ভাই স্বপন আহমদকে প্রধান আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত আব্দুল কাইয়ুম (১৮) মোল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নিদনপুর এলাকার মৃত সবুল আলীর ছোট ছেলে। সে মোল্লাপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।