প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মামলায় আসামী রনজিৎ সরকারও, গ্রেপ্তার ১

নগরের টিলাগড়ে খাওয়ার জন্য পাঠা (ছাগল) না দেওয়ায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ সরকারসহ ১০ জনকে নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৮/১০জনকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে সিলেট বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহপরান থানায় এ মামলা (নং- ৪/২০২০) দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে কনক পাল অরূপকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন কনক পাল অরূপ, রাহুল চৌধুরী, মিঠু তালুকদার ,আকাশ ,রুবেল,শামীম আলী, অপু তালুকদার , সাহেদ ও সৌরভ। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার দুপুরে নগরের টিলাগড়ে সিলেট বিভাগীয় ছাগল গবেষণা খামারে কয়েকজন যুবককে পাঠান সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকার। যুবকরা খামারে প্রজননের জন্য রাখা একটি পাঠা (ছাগল) ফ্রি দেওয়ার জন্য বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলামের কাছে আবদার জানায়। ড. আমিনুল পাঠা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা গালিগালাজ করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দলবল নিয়ে রনজিৎ সরকার সেখানে গিয়ে কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফের উপর হামলা চালান। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও লাঞ্ছিত করেন তারা। এ ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যা অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিবলেন, ‘ছাত্রলীগের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার ঝামেলা হয়েছে। আমি ওই দিকে বিকেলে হাটি-হাটি করে। আমি এই ঘটনা শুনে সমাধানের চেষ্টা করেছি।’ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে । যার মামলা নং- ৪/২০২০। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’ ইতোমধ্যে কনক পাল অরূপ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’