ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুরের জন্য 'লজ্জিত বালাগঞ্জবাসী'

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ধর্ষণের ছবি প্রকাশের পর বালাগঞ্জের বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন- ‘সাইফুর কলঙ্কিত করেছে বালাগঞ্জকে। তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বালাগঞ্জের সাংবাদিক আ হ ম ইমন শাহ তার টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘ধর্ষক সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে। শুয়োরটা বালাগঞ্জকেও কলঙ্কিত করলো। আরেক সাংবাদিক আবুল কাশেম অফিক লিখেছেন, ‘এমসি কলেজের গণধর্ষণের ঘটনার সাইফুলের বাড়ি নাকি বালাগঞ্জ? হলে আমরা লজ্জিত অনুতপ্ত। এ ধরণের কুলাঙ্গারের প্রয়োজন নেই। আমাদের উপজেলায় এদের ঠাই নেই। যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মহসিন লিখেছেন, ‘কে এই সাইফুর? কি তার পরিচয়? সে নাকি বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশাল বড় এক নেতার চাচাতো ভাই, উনি নাকি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও? সিলেট এমসি কলেজে আজকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মিডিয়ায় প্রকাশিত ধর্ষকের একজন বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান চান্দাইরপাড়া গ্রামের আনহার মিয়ার চাচাতো ভাই ধর্ষক সাইফুর। ছিঃ আমাদের এলাকায় এমন কুলাঙ্গারের কিভাবে জন্ম নেয়? উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে যান। এসময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামীরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। এসময় ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেট কার উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালালেও কোন অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষকদের গ্যাং লিডার সাইফুরের বাড়ী বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইর পাড়া (চক গ্রাম) তার পিতার নাম তাহিদ উল্লাহ। তার চাচা ডা. সোবা মিয়া।