আমাকে জাতীয়ভাবে পাগল বলা হয়: ওবায়দুল কাদেরের ভাই

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ করি, তখন জাতীয়ভাবে আমাকে বলা হয় আমি নাকি পাগল, উন্মাদ। এ বিচারটা আপনাদের কাছে দিলাম। ১৬ তারিখ (বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন) আমি পাগল নাকি, তা প্রমাণ করে দেব। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাতের অধিকার দিয়েছেন। এখন শেখ হাসিনাকে মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা তাকে সহযোগিতা করব। রাতারাতি এটা করা সম্ভব নয়। পয়সা দিয়ে যারা এমপি মনোনয়ন নেন, তারা জীবনে নিজ এলাকায় গিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান না। তারা ভোট এলে প্রার্থী হয়ে ভোট চুরি করার জন্য দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে মস্তান পালেন। শেখ হাসিনা কখন এদের পাহারা দেবেন। এর মধ্যেও অনেক জায়গায় ভালো ভোট হয়। যেমন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের এলাকায় ভালো ভোট হয়। তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আমেরিকায় চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে এসে কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছি- আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো, আমি সাহস করে সত্য কথা বলবো। সে প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখানকার দল আমাকে সহযোগিতা করছে। আমি অন্যদের এবং প্রশাসন থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এ নির্বাচনকে আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ সৃষ্টি ও জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নির্বাচন করছি। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমি অন্যায়, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে, নোয়াখালীর ত্যাগী নেতা ও কবিরহাটে আমাদের নিরীহ নেতাকর্মীদের কথা বলি; কোম্পানীগঞ্জের অসহায় ছেলেমেয়েদের চাকরি, এই এলাকার গ্যাসের কথা বলি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ করি, তখন জাতীয়ভাবে আমাকে বলা হয় আমি নাকি পাগল, উন্মাদ। এ বিচারটা আপনাদের কাছে দিলাম। ১৬ তারিখ (বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন) আমি পাগল নাকি, তা প্রমাণ করে দিব। যে আমাকে পাগল বলেছেন, গোপালগঞ্জের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা থেকে এমপি হয়েছেন। আগে মন্ত্রী ছিলেন, এখন নেই। উনার সম্পর্কে সবাই জানেন কী কী অনিয়ম করেছেন। অনিয়ম না করলে তাকে মন্ত্রী বানানো হয়নি কেন? তিনি আবার আমাকে বলেন পাগল-উন্মাদ। আরেকজন নেতা বলেন, আমার নাকি দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব আছে। আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি হলে আপনার এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙে কেমনে। এসব কথা বন্ধ করেন, কী করবেন, জেলে দিবেন, বহিষ্কার করবেন, মেরে ফেলবেন, আমি বলবোই। আমি সারা দেশের কথা বলি নাই, আমি বলেছি নোয়াখালী-ফেনীর অপরাজনীতির কথা। আপনারা কেন নিজেদের গায়ের উপর নিচ্ছেন। আজকে আমি মনে করি শেখ হাসিনা অসহায়। কেন অসহায়- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের মৌলবাদী অপশক্তি-সাম্প্রদায়িক শক্তি শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। দলের চাটুকারেরা শেখ হাসিনাকে উত্ত্যক্ত করছে। তাকে দল দেখতে হয়, দেশ দেখতে হয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়। তার কি সময় আছে কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী এসব দেখার। এগুলো কার দায়িত্ব? আপনাদের কাজ কী? সব কাজ যদি শেখ হাসিনাকে করতে হয়- দেশের মানুষের অন্ন-বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান সব যদি শেখ হাসিনা করে তাহলে আপনারা কেন?