পুলিশের কাজ কী, বিএনপিকে ঠ্যাঙানো?

আমার নেত্রী খালেদা জিয়া একদিন রাতে হঠাৎ আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। বললেন, আব্বাস কী করছেন? আমি বললাম, ম্যাডাম ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি আমাকে বললেন, ঘুমালে তো চলবে না। আপনি কিছু শোনেননি? আমি বললাম- না, ম্যাডাম। তিনি বললেন, ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙা হচ্ছে। আপনি যান আপনার এলাকার মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। তিনি তখন খুব সুন্দরভাবে আমাদের দেশের মুসলমানদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন। এসব কথা উল্লেখ করে বিএনপিকে উচ্চপর্যায়ের একটি অসাম্প্রদায়িক দল ও খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত উচ্চ মানসিকতার একজন নেত্রী বলে অভিহিত করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দোয়া মাহফিলে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই- এই সমস্ত নোংরামি ছাড়েন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বহু পন্থা অবলম্বন করেছেন। খুন করেছেন, গুম করেছেন। আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে জেলখানা ভরে ফেলেছেন। কোর্টে গেলে আমাদের লোক ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। দেশে কোনো বিচার ব্যবস্থা নেই। আছে শুধু পুলিশ, আছে শুধু কোর্ট। আর এগুলো দিয়েই সরকার টিকে আছে।

তিনি বলেন, আমাদের সময় বাংলাদেশে ৫০ হাজার পুলিশ ছিল। এখন বাংলাদেশে ৫ লাখ পুলিশ। এই যে বিশাল পুলিশবাহিনী কাকে পেটানোর জন্য? যদি ডাকাত ধরা না যায়, ব্যাংক লুটেরাদের ধরা না যায়, যদি চোর ধরা না যায়, যদি খুনি ধরা না যায়, যদি পূজামণ্ডপ ভাঙার লোক ধরা না যায় তাহলে এ পুলিশের কাজ কী? বিএনপিকে ঠ্যাঙানো? এটা বোধ হয় বেশিদিন আর চলবে না। কারণ সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ একটা আছে। নিজ থেকেই আপনা-আপনি প্রতিরোধ ব্যবস্থা হয়ে যায়।

বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা আরও বলেন, আমি এখানে গাড়ি থেকে নামার সময় দেখলাম অনেক পুলিশ। আরে ভাই কেন? এটা কি জঙ্গি অফিস? এটা তো বিএনপি কার্যালয়। স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত একটি দোয়া মাহফিল হবে। এখানেও আপনারা আমাদের বসতে দেবেন না?