রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়: ফখরুল

আজকে দেশের কোথাও শান্তি নেই দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি খনার বচন আজকে আমাদের দেশে মিলে গেছে। গ্রামে-গঞ্জে যান, চায়ের দোকানে বসেন, মানুষের মধ্যে যে একটা শান্তি, স্বস্তি সেটা নেই। স্কুল, কলেজ, মসজিদে যান কোথাও শান্তি নেই। কী জানি কী বলতে কী বলে ফেলি, কী জানি কী হয়। সেজন্যই বলছি, রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আলেম ওলামা যাদের মানুষ সম্মান করে। এরা তাদের এক কথায় ধরে নিয়ে টপ করে জেলে পুরে দেয়। তারপর তার বিরুদ্ধে যত রকমের কল্পিত চরিত্র হরণের ব্যবস্থা করতে থাকে। অবলীলায় গুলি করে হত্যা করে। আমরা কী শাপলা চত্বরের কথা ভুলে গেছি, ভুলিনিতো। কীভাবে এসব আলেম ওলামাদের, যাদের ওয়াজ শুনলে মানুষের চোখ দিয়ে পানি পড়ে, সেই মানুষগুলোকে আজকে কারাগারের অন্তরালে আটকে রেখেছে এ আওয়ামী লীগ সরকার।

ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজেল ব্যবহার করে বাস-ট্রাক, বড়লোকদের প্রাডো গাড়িতে ডিজেল ব্যবহার হয় না। কেরোসিন ব্যবহার করে গ্রামের মানুষ। প্রজারা কষ্ট পায়। আর যিনি রাজা উনি তখন প্যারিসে বক্তব্য দেন, স্কটল্যান্ডে বক্তব্য দেন, অথবা গ্লাসগোতে পরিবেশের বক্তৃতা করেন, লন্ডনে বক্তৃতা করেন। গোটা বিশ্বের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। ভালো কথা, আমাদের নেতা যদি সারা বিশ্বের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন, দুঃখের কিছু নেই। কিন্তু তার দেশে কী ঘটছে? দেশের মানুষ কেমন আছে। আজকে কত বড় লজ্জা আমাদের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন গণতন্ত্র সভা ডেকেছেন, একশটা দেশকে ডেকেছেন। পত্রিকায় দেখেছি। আমরা শান্তি পেতাম, ভালো লাগতো, নিজের মাথাটা উঁচু হয়ে দাঁড়াতো। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ, বাংলাদেশ। অথচ আমাদের নামটা সেখানে নেই।

তিনি আরও বলেন, গত ১২/১৪ বছরে আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ ছিলাম। গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছি, লড়াই করেছি, যার জন্য কেয়ারটেকার সরকারের মতো একটা ইউনিক সিস্টেম আমরা নিয়ে এসেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচন করতাম, সেই দেশটাকে আজকে অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত করেছে। এর চেয়ে লজ্জার, দুর্ভাগ্যের আর কিছু নেই। জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।