ইসলামে কথা বলার আদব

রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তার উচিত কথা বললে ভালো কথা বলা, অন্যথায় চুপ থাকা।’ জঁ লা ব্রুয়ঘ (১৬৪৫-১৬৯৬)একজন ফরাসি লেখক। তিনি এই একই কথাকে এই শব্দযোগে বলেছেন, ‘বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়, মানুষের ভেতর এতটুকু বোধশক্তিটুকু নেই যে সে ভালো কথা বলবে নাকি চুপ থাকবে।’ কথা বলার ক্ষমতা একটি আল্লাহপ্রদত্ত অবর্ণনীয় পর্যায়ের মহান ক্ষমতা। এই ক্ষমতাকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তবে তা আশীর্বাদ। আর যদি এই ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। কথা বলার ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার হলো— ব্যক্তি তার কথা বলার আগে চিন্তা করবে, নিজে বলার আগে অন্যের কথা শুনবে এবং যে শব্দটিই সে উচ্চারণ করবে, এটা স্মরণে রেখে করবে যে, তার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে। কথা বলার সুযোগ আছে, তবুও সে চুপ থাকতে পছন্দ করবে। দায়বদ্ধতার অনুভূতি নিয়ে কথা বলবে, আবেগের তাড়নায় নয়। পক্ষান্তরে, কথা বলার ক্ষমতার অপব্যবহার হলো— ব্যক্তি চিন্তা না করেই কথা বলবে। সে কেবল শোনাতে আগ্রহী, শোনার আগ্রহ নেই। কোনো বিষয় গভীরভাবে না বুঝে তার উপর বক্তব্য বা মন্তব্য করতে দাঁড়িয়ে যাবে। তার বলা কথা হবে আত্মপ্রকাশের জন্য, সত্য প্রকাশের জন্য নয়। কথা বলা সবচেয়ে বড় পুণ্য এবং কথা বলা সবচেয়ে বড় পাপের কাজও। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তার উচিত কথা বললে ভালো কথা বলা, অন্যথায় চুপ থাকা।