‘ছাত্রলীগ জাতীর দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। জাতীর পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ জাতির দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টে ৮০ ও ৯০ দশকের জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশে থাকা অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হওয়ার পর তাদের লেজুড়বৃত্তি করতে ছাত্র-সংগঠনের জন্ম হলেও একমাত্র ছাত্রলীগের ইতিহাসই ব্যতিক্রম। এর ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার ২৯ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন জিয়া, এরশাদ ও খালেদা। এ সময় তারা দেশকে সারাবিশ্বে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছেন। অথচ, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর আর তার কন্যা শেখ হাসিনার সাড়ে ১৮ বছর মিলিয়ে ২১ বছরে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে। একটি নির্বাচনের ব্যালটের মাধ্যম অন্য দুটি গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান। আওয়ামী লীগ সবগুলো পথই ব্যবহার করতে জানে। অথচ, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথই জানে না।

গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক নারীবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, এ প্রজন্মের ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের সরকারকে ক্ষমতায় দেখছে। তারা ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করছে। কিন্তু তারা রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ পথ দেখেনি, কীভাবে স্বৈরাচারবিরোধী, বিএনপি-জামায়াত জোটবিরোধী আন্দোলন হয়েছে তাও দেখেনি। জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে এসবের ইতিহাস তাদেরকে শোনতে হবে, শিক্ষা নিতে হবে।

অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হাদি শামীমের সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি। এ সময় আরও বক্তব্য দেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জিএস গাজীপুরের জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলিম উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আকবর আলী চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগের নেতা হীরা সরকার, জাহিদুল আলম রবিন প্রমুখ।