চাকরি দেওয়ার নামে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চাকরি দেওয়ার নামে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার নামে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে।

সোমবার প্রতারণার শিকার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় তাহিরপুরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল নুর আহমেদ খান ও ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং উপজেলা প্রতিবন্ধী যুব উন্নয়ন সংস্থা তাহিরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু দাশ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,২০২১ সালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় আবুল নুর আহমেদ খান ও অরবিন্দু দাশ উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় চালু করেন। শিক্ষকতার চাকরি প্রদান, চাকরি স্থায়ীকরণ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদফতর হতে বিদ্যালয়ের নিবন্ধন, নিয়মিত বেতন, ভাতা, সম্মানী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, অন্য সহকারী শিক্ষকসহ ১৪ জনের কাছ থেকে ধাপে ধাপে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্য পরস্পরের যোগসাজসে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পোশাক দেওয়ার নামে, ডাক্তারি পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারি কম্বল, এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের কম্বল বিতরণে অনিয়ম করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অপর সদস্য। সর্বশেষ বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের নামে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছে নতুন করে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

শিক্ষকরা চাঁদা না দেওয়ায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।

সোমবার বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রিক্তা বেগম জানান, বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে আজ অবধি আমরা কোনো শিক্ষকই বেতন-ভাতা তো দূরে থাক মাসিক সম্মানীর টাকাও পাইনি। বিদ্যালয়ের নিবন্ধন, শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণ বেতন-ভাতা পাইয়ের দেওয়ার নামে নানা অজুহাতে আমাদের কাছ থেকে ইতোপূর্বে ধাপে ধাপে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার পর পুনরায় প্রত্যেক শিক্ষক ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা না দেওয়ায় সভাপতি আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।

উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল নুর আহমেদ খানের কাছে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের স্বার্থেই এসব টাকা খরচ করা হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো শিক্ষকের কাছে চাঁদা চাওয়া এমনকি শিক্ষকদের গালিগালাজ, হুমকি প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির জানান, অভিযোগ পেয়েছি; তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।