লক্ষ্মীপুরে দুই কিশোরীর সমকামী প্রেম’ নিয়ে জেলজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২০২১ সালে ভুল তথ্য দিয়ে বিবাহের ঘোষণা ও দেড়বছর ধরে ভরণ পোষণের তথ্য জানাজানিতে এখন সর্বত্র চাঞ্চল্যসহ আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর আগ থেকে দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেম চলছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাদের পরিবার গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। তবে সমকামীদের মধ্যে পুরুষ (স্বামী) পরিচয়ের কিশোরী এলাকায় অবস্থান করলেও অপর কিশোরী (স্ত্রী পরিচয়ের) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাটিকে নিন্দনীয় আখ্যা দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী মম (ছদ্মনাম) এবং পাশ^বর্তী উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের তোফায়েল আহম্মদের মেয়ে দাখিলে পড়ুয়া ছাত্রী রাইশা (ছদ্মনাম) পরিচয় হয়। আত্মীয়তার পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মাঝে শুরু হয় প্রেম। ২০২১ সালের ৮ জুলাই মম পুরুষ সেজে ছদ্মনাম ব্যবহার করে লক্ষ্মীপুর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহের চুক্তি করেন। দুইজনে দেড় বছর ধরে গোপনে সংসারও করেন। গোপন পরিণয়ের এ ঘটনার কিছুই জানতেন না পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরা।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) তোফায়েল আহম্মদের মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মম (ছদ্মনাম) বরের বাড়িতে বিবাহের এফিডেভিট কপি পাঠালে বিয়ে ভাঙ্গার অভিযোগ উঠে। এরপর থেকে বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবার জানতে পারেন। এতে সমকামী দুই কিশোরীর বিয়ে নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পাত্ররূপী মম জানান, তাদের মধ্যে প্রথমে বন্ধুত্ব হয় তারপর প্রেমের সূত্রপাত। তাদের সম্পর্ক চিরস্থায়ী করার জন্য তারা এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন।

মেয়ের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা দুইজনে সকলের অগোচরে একসাথে সংসার করেছেন। সমকামিতায় আসক্তের বিষয়টি লক্ষ করা যায়নি।

পাত্ররূপী মমর পিতা বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে সমকামী বিয়ের জালে বন্দী করে। এ ব্যাপারে তিনি নিজের ভাইয়ের ছেলে ও তার স্ত্রীকে দায়ী করছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়। আলাপ আলোচনা করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।