কোরীয় শান্তির পথে বাধা ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায় দুই কোরিয়া। এ লক্ষ্যে এক মাসের মধ্যে দু’বার সাক্ষাৎ করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন ‘আজন্ম শত্রু’ হিসেবে স্বীকৃত দুই কোরিয়ার দুই নেতা। সর্বশেষ শনিবার পানমুনজামে বৈঠক করেন উত্তরের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। কোরীয় শান্তির পথে বাদ সাধছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ‘উম্মাদ’ ট্রাম্প বারবার তার সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন। একবার বলছেন বৈঠক হবে তো আরেকবার বলেছেন বৈঠক বাতিল। ট্রাম্পের এমন দোটানা মনোভাবে বিব্রত হচ্ছে দুই কোরিয়া। এজন্য সাক্ষাৎ করে সব ধোঁয়াশা পরিষ্কার করলেন কিম ও মুন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ হয়েছেন বলে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে ১২ জুনের শীর্ষ বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে হোয়াইট হাউস। তবে এ খবরে নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ট্রাম্পকে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার বাতিকে পেয়েছে। জন্য কাক্সিক্ষত সময়ের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। মুন জানান, শনিবার উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘হতে হবে’ বলে তিনি ও কিম একমত হয়েছেন। শনিবার বিকালে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক গ্রাম পানমুনজামে কিম ও মুন এক আকস্মিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন, ‘চেয়ারম্যান কিম ও আমি একমত হয়েছি যে, ১২ জুনের শীর্ষ সম্মেলন সাফল্যজনকভাবেই হওয়া উচিত এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অভিষ্ট এবং চিরস্থায়ী শান্তির শাসনের সম্ভাবনা রুদ্ধ করা উচিত নয়।’ যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার নজিরবিহীন শীর্ষ বৈঠককে কেন্দ্র করে সপ্তাহজুড়ে চলা কূটনৈতিক উত্থান-পতনের পর পানমুনজামের বৈঠকটি ঘটনায় সর্বশেষ নাটকীয় মোড় সৃষ্টি করেছে। এ বৈঠক থেকে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, কিম-ট্রাম্প বৈঠকের সম্ভাবনা ধরে রাখতে কোরিয়ার নেতারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে পূর্বপরিকল্পনা মতোই ‘তার অটল ইচ্ছার’ কথা জানিয়েছেন কিম। মার্কিন নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যে ক্ষিপ্ত উত্তর কোরিয়া বৈঠক বাতিল করার হুমকি দেয়। এরপরই বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় তৎপরতা শুরু করেন মুন। ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটন ছুটে যান তিনি। পরে কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সর্বশেষ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে- বৈঠক হবে কিনা।