সুনামগঞ্জে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা যুবকদের ছিনিয়ে নিয়েছে স্বজনরা।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আজমপুর খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরে আহত ব্যক্তির নাম আম্বির আলী (৪৫)। তিনি উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আজমপুর খেয়াঘাট এলাকায় মান্নারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরহাদ আলমের ছেলে তূর্য আলম, কমল আলম, কাননসহ চারজন মিলে আম্বির আলীকে মারধর করে। এ সময় একজনের হাতে রামদা ছিল। মারধরের পর হামলাকারীরা আম্বির আলীকে গাড়িতে করে পাশের কাটাখালী বাজারে নিয়ে ফার্মেসিতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
খবর পেয়ে ফার্মেসি থেকে আহত আম্বির আলীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে আজমপুর গ্রামে তার বাড়িতে দিয়ে আসে। এ সময় ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের বাড়ির সামনে থেকে উপপরিদর্শক মিজানুরের নেতৃত্বে মারধরকারী তূর্য আলম ও কমল আলমকে আটক করে হাতকড়া পরানো হয়। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের লোকজন দুই যুবককে ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নারগাঁও ইউপি সদস্য ফরহাদ আলম বলেন, হাতকড়াসহ আমার ছেলেকে পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়ে এসেছি। তিনি বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, হাতকড়া উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য