ঢাবিতে যত্রতত্র মূত্রত্যাগ ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন দেয়াল, ফুটপাত ও খোলা জায়গায় প্রস্রাব করতে দেখা যায় অনেককে।শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসের আশেপাশে যত্রতত্র মলত্যাগ করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। এতে দুর্গন্ধে নাকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।

এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যতিক্রমী কিছু কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।অভিনব কিছু পোস্টারিং করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেওয়াল ও মূত্রত্যাগের জায়গাগুলোতে টানিয়ে দিয়েছেন তারা। এতে লিখা রয়েছে ‘আমি কুকুর, আমি রাস্তায় প্রস্রাব করি।’

একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গণপ্রস্রাবখানা স্থাপনের দাবি জানিয়ে প্রক্টরের কাছে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর কার্যালয়ে এ চিঠি জমা দেন তারা।

চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণশৌচাগারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বহিরাগত ও রিকশাওয়ালারা যত্রতত্র প্রস্রাব ও মলমূত্র ত্যাগ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অবর্ণনীয়ভাবে বিনষ্ট করছে। রাস্তায় গাড়ির জ্যাম ও ফুটপাতে প্রস্রাবের কারণে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে হাঁটাচলা করা একেবারেই দুরূহ হয়ে পড়েছে।

শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে বলেন, ফুটপাত ও দেওয়ালের পাশে যেসব জায়গায় প্রস্রাব ও মূত্রত্যাগ করা হয় আমরা সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে প্রক্টর স্যারকে বলেছি।তিনি দু-এক দিনের মধ্যেই ওই স্থানগুলোতে তারের বেড়া দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত, ভবঘুরে ও উন্মাদ লোকদের উৎপাত নিয়ন্ত্রণের কথাও স্যারকে জানিয়েছি। সে বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর স্যার।