তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে যে বার্তা দিল বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপসহকারী পরিচালক দিনমনি শর্মা। 

তিনি তুরস্কে ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন।

শনিবার দেশটির আদিয়ামান শহর থেকে ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওবার্তা দিয়েছেন তিনি। ভিডিওবার্তায় দিনমনি শর্মা বলেন, আমরা আদিয়ামান শহরের একটি পাঁচতলা বিধ্বস্ত ভবনের উদ্ধারকাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এখানে কাজ করছে বাংলাদেশ টিম।

আমরা এখানে লাইভ (জীবিত) ডিকটিম এবং ডেড (মৃত) ভিকটিমের সন্ধান পেয়েছি। এখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা দেখতে পারছেন আমাদের উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুক্রবার পার্শ্ববর্তী একটি বিল্ডিং থেকে একটি জীবিত ভিকটিম এবং চারটি ডেড ভিকটিম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। সবাই এখানে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করছে এবং আমরা আমাদের কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুক্রবার ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার বিমানযাত্রা শেষে তুরস্কের আদানা বিমানবন্দরে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের দল। সেখান থেকে বাসে করে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্য আদিয়ামানে যায় দলটি। একই দিন দেশটিতে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন দলের সদস্যরা।

গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ফের ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে। এতে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ এবং সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের সবশেষ তথ্যমতে, দেশ দুটিতে এ পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। এছাড়া, কেবল তুরস্কেই আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি লোক।