বে-ক্রুজ জাহাজে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

মানববন্ধনে চারদফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- এই ঘটনায় জড়িত জাহাজেট স্টাফ সন্ত্রাস বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের মিথ্যা ও বানোয়াট স্টেটমেন্ট প্রত্যাহার পূর্বক লিখিত মুসলেকা দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জান-মালের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

হামলার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান নওশাদ বলেন, আমরা সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার জন্য বে-ক্রুজ জাহাজের টিকেট কাটা সত্ত্বেও আমাদের সিটে কালোবাজারি স্টাফরা অন্যদের বসিয়ে দিয়েছে। আমরা সেটা বলতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়। এমনকি শিক্ষকরা সমঝোতা করতে গেলে তারা শিক্ষকদের মারধর শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় দমদমিয়া ঘাটে আাসার পরে স্থানীয় সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের আক্রমণ করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত হয়েছে। 

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আক্তার হিরামনি বলেন, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ফুলেল বিদায় দেওয়ার জন্য বিভাগ থেকে সেন্টমার্টিন ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে শেষবেলার স্মৃতিকে কলুষিত করেছে।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা সেন্টমার্টিন থেকে এমভি বে-ক্রুজ জাহাজের সিটিং টিকেট কাটে। টিকেট কাটা সিটে বসা নিয়ে ওরা ঝামেলার সৃষ্টি করে। ঘটনাটা তখনই সমাধান করা যেত। কিন্তু তারা তা না করে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক-ছাত্রদের আক্রমণ করে। এর সঙ্গে জাহাজ কর্তৃপক্ষ সরাসরি জড়িত। 

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সেন্টমার্টিন থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতকোত্তর ব্যাচ ট্যুর শেষে বেক্রুজ-১ জাহাজে করে টেকনাফ ফিরছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, টেকনাফ থেকে ফেরার সময় পথিমধ্যে আসনে বসাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা সৃষ্টি করে বে-ক্রুজ-১ জাহাজের স্টাফরা। প্রথমে তর্কতর্কির এক পর্যায়ে দুই শিক্ষকসহ ১০ জন শিক্ষার্থীর ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে জাহাজের স্টাফরা। পরে দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছানোর পর আবারো হামলা চালানো হয়। এতে ২জন শিক্ষক ও ১জন ছাত্রীসহ প্রায় ২০ এর অধিক আহত হয়। যার মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত হয়।