‘গুরুতর জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে চীন-মার্কিন সম্পর্ক’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ক গুরুতর জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত নতুন চীনা রাষ্ট্রদূত। তবে তিনি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক মেরামত করতে চান বলেও জানান জাই ফেং নামের এই চীনা কূটনীতিক।


তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জাই ফেং।তিনি বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক ‘গুরুতর জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের’ মুখোমুখি রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোই তার লক্ষ্য হবে। ‘চীনের স্বার্থ রক্ষা করতে’ তিনি এখানে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

‘আমি চীনা জনগণের দূত, তাই আমি চীন-মার্কিন মতবিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে এখানে এসেছি,’ বলেন জাই ফেং।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত নতুন চীনা রাষ্ট্রদূত পরে এক টুইটে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয়পক্ষই লাভবান (উইন উইন)- এমন তিনটি সহযোগিতার নীতিকে সামনে রেখেছেন। যেখানে নতুন যুগে (নিউ এরা) দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে চলার মৌলিক ও সঠিক পথের প্রতিনিধিত্ব করে।

চীনের এই কূটনীতিক আরও বলেন, বর্তমানে চীন-মার্কিন সম্পর্ক গুরুতর সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমার নিয়োগ আমার কাছে শুধু সম্মানেরই নয়, অনেক বড় দায়িত্বও বটে। আমার সহকর্মীরা এবং আমি আমাদের দায়িত্ব পালন করব এবং অধ্যবসায় ও দৃঢ়তার সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৯ বছর বয়সি জাই ফেং একজন পেশাদার কূটনীতিক, বিশেষ করে চীন-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তিনি। সম্প্রতি চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন কিন গ্যাং। সম্প্রতি তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান এবং জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ছাড়েন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে কিন গ্যাংয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন জাই ফেং।